পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রতিবেশীর মরিচগাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগলকে আটকে রেখে এর মালিককেও গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন উপজেলার আরোজবেগী গুচ্ছগ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তফা ফকির।
আজ রোববার সকালে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, গত শুক্রবার একই এলাকার বাসিন্দা খোকন সরদারের ছাগল মোস্তফা ফকিরের মরিচের গাছ খেয়ে ফেলে। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে সকাল ৮টার দিকে খোকন সরদারকে বেঁধে মারধর করেন মো. মোস্তফা ফকির। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই দিন বিকেলে খোকন সরদার বাদী হয়ে দশমিনা থানায় মোস্তাফা ফকির ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ গতকাল বিকেলে মোস্তফা ফকিরকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মো. খোকন সরদারের লিখিত অভিযোগ একটি আলোচিত ঘটনা। অভিযোগ আমলে নিয়ে শনিবার বিকেলে মোস্তফা ফকিরকে গ্রেপ্তার করি। রোববার সকালে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক মোস্তফা ফকিরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
এদিকে ঘটনার ভুক্তভোগী মো. খোকন ফকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবেশী মোস্তাফা সরদারের খেতের মরিচ চারা খাওয়ার করেন আমাকে মারধর করে তার ঘরের সামনে বেঁধে রাখে। আমার স্ত্রী, সন্তানসহ আমাকে মারধর করে এবং আমাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।’
খোকন ফকির আরও বলেন, ‘আমি মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করি।’