ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা সদরের ইলিশা-১ গ্যাসকূপের তৃতীয় স্তরে গ্যাসের মজুত পরীক্ষা আজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। মাটির ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরতায় এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়, যা প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। গ্যাসক্ষেত্রে ২২০ বিসিএফ (বিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাস মজুত রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন কোম্পানির (বাপেক্স) ভূতত্ত্ব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব।
আলমগীর আরও বলেন, কূপের তৃতীয় স্তরে যাওয়ার পর আগুন প্রজ্বালনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসের ডিএসটি পরীক্ষা শেষে এই মজুতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও কূপ খনন করলে আরও মজুত পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি। সোমবার দিন-রাত আগুন জ্বালানো হবে। এরপর বন্ধ করে ২৪ ঘণ্টা পর ফের আগুন জ্বালানো হবে।
গত ২৮ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেন তাঁরা। রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম এই উত্তোলনকাজ শুরু করে।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে আবিষ্কৃত শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে এই গ্যাসক্ষেত্রের দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। ভোলায় বড় ধরনের মজুত আবিষ্কৃত হওয়ায় এবং ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে আরও গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করছে বাপেক্স।
ভোলার শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ নামে দুটি গ্যাসক্ষেত্রে মোট ৯টি কূপ খনন করা হয়। এসব কূপে ১.৭ টিসিএফ ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে।