ভোলায় পল্লি চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় সামিয়া আক্তার নামে আট মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার পল্লি চিকিৎসক হোসেনের ইসলামিয়া মেডিকেল হল নামের ওষুধের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সামিয়া ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামের আলামিনের মেয়ে। ওই ঘটনায় শনিবার রাতেই পল্লি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সামিয়ার দাদা সাদেক খান, ফুফু জান্নাত বেগমসহ তার স্বজনেরা জানান, কয়েক দিন আগে সামিয়ার গলায় একটি ফোড়া উঠলে তাকে শনিবার বিকেলে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামের ওষুধের দোকানি পল্লি চিকিৎসক হোসেন শিশুটির স্বজনদের ভুলভাল বুঝিয়ে তাঁর ইসলামিয়া মেডিকেল হলে নিয়ে যান। সেখানে হোসেন নিজেই শিশুটির গলায় ইনজেকশন পুশ করে তাকে অজ্ঞান করে ব্লেড দিয়ে গলার ফোড়া কেটে অপারেশন করেন। এতে শিশুর গলা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। একপর্যায়ে শিশুটির গলা থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় এবং তার জ্ঞান না ফেরায় শিশুকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে সটকে পড়েন ওই পল্লি চিকিৎসক হোসেন। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।
পরে শিশু সামিয়াকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, পল্লি চিকিৎসক হোসেনের ভুল চিকিৎসায় সামিয়া আক্তারের অকালমৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহীন ফকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পল্লি চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। নিহত শিশুটির বাবা আলামিন রাতেই থানায় অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসক হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা ওই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেব। শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পলাতক অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।