কলেজছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ঝালকাঠিতে সোহাগ মীর নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুস্তম আলী রায়ের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক কলাপাড়া উপজেলার আনিপাড়া গ্রামের সোবাহান মীরের পুত্র। আদালতে রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কলেজছাত্রী বেনজির জাহান মুক্তা জেলার নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ এলাকার জাহাঙ্গীর হালদারের মেয়ে ও ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মুক্তা কলেজে যাওয়ার সময় সোহাগ মীরের (২৫) সঙ্গে দেখা হলে তিনি তাঁর মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান। দুপুরে ফেরার পথে মোবাইলটি ফেরত নেওয়ার কথা বলেন।
পরে মুক্তাকে মোবাইল দেওয়ার কথা বলে কাপুড়িয়া বাড়িসংলগ্ন কাঁচা রাস্তার ওপরে বটগাছের নিচে আসতে বলেন সোহাগ মীর। সেখানে মুক্তা আসার পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহাগ চাকু দিয়ে তাঁর গলায় ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় মুক্তা গলা চেপে ধরে চিৎকার করে বাড়িতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পরের দিন ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তার বাবা জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হালিম ওই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে সোহাগকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বরে চার্জ গঠন করে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।