পিরোজপুরের নেছারাবাদে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার থানায় তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। এর পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন তদন্ত কর্মকর্তা নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহিন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। এর পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তার করে আজ শনিবার সকালে পিরোজপুর কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের মো. আনোয়ার হোসেন, মো. রাকিব হোসেন (২৩) ও মো. ইউনুস মিয়া (৩৫)। ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর এক মাস পরে থানায় মামলা হওয়ার বিষয়ে পুলিশ বলছে, ‘তখন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেওয়া হয়েছে।’
এজাহার থেকে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী রাকিবের ট্রলারে করে নদীতে মাছ ধরতেন। এ কারণে রাকিবের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। আর আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে রাকিব গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে কল করে একটি স্থানে আসতে বলেন। রাকিবের কথায় গৃহবধূ সেখানে গেলে আনোয়ার ও ইউনুছ এসে রাকিবের পাশ থেকে গৃহবধূকে একটি নির্মাণাধীন ঘরে নিয়ে যান। সেখানে আনোয়ার ও রাকিব তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় বাইরে থেকে ইউনুস পাহারা দেন। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য গৃহবধূকে হুমকি দেন তাঁরা।
মামলার বাদী গৃহবধূ জানান, তিনি বিষয়টি ননদের স্বামীকে জানালেও সমাধানের কথা বলে কালক্ষেপণ করা হয়। পরে বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. নুরুল আমীনকে জানান। একপর্যায়ে কোনো বিচার না পেয়ে থানায় মামলা করেন।
ইউপি সদস্য নুরুল আমীন বলেন, ‘ওই নারী আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাঁকে থানায় যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিই। তখন থানায় নাকি অভিযোগ দিয়েছিল। এমনকি অভিযুক্তরা মীমাংসার জন্য আমার কাছে এসেছিলেন। ধর্ষণের বিষয় বলে আমি একা একা কোনো সমাধানের সাহস পাইনি।’