পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রকে (৮) ধর্ষণের ঘটনায় জাকির হোসেন (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে পায়ে দড়ি বেধে উল্টো করে ঝুলিয়ে পিটিয়েছেন ওই শিশুর বাবা মো. জাকারিয়া।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার মাহামুদকাঠি গ্রামের ইছাম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বারান্দায় ওই বৃদ্ধকে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেদম পেটানো হয়। অভিযুক্ত বৃদ্ধ জাকির হোসেন মাহমুদকাঠি ইছাম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নৈশপ্রহরী পদে চাকরি করতেন।
জাকির হোসেন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘ওই বাচ্চাটি আমার প্রতিবেশী। সে মাদ্রাসায় পড়ে। তাকে আমি আদর করতাম। আদর করতে গিয়ে তাকে আমি কয়েকদিন ধর্ষণ করেছি। এ জন্য ওই শিশুর বাবা জাকারিয়া বুধবার সকালে আমাকে স্কুলে থেকে বের করে পিটিয়েছে। পেটানোর একপর্যায়ে স্কুলের বারান্দায় রশি দিয়ে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে আমাকে অনেক মারধর করেছে।’
ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা মো. জাকারিয়া বলেন, ‘‘আমার শিশু ছেলেকে টাকার লোভ দেখিয়ে লম্পট জাকির কয়েকদিন ধর্ষণ করেছে। পরে তার প্রস্তাবে ছেলে রাজি না হওয়ায় ছেলেকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে ছেলে আমার অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকত। এমনকি ও মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আমি জানতে চাইলে ছেলে আমাকে সব খুলে বলে।
‘বিষয়টি আমি স্থানীয় গন্যমান্যসহ ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তৌফিকুজ্জামানকে জানাই। তারা বিষয়টির কোনো বিচার না করে এড়িয়ে যান। এ জন্য বুধবার ওই স্কুলে গিয়ে দেখি লম্পট জাকির হোসেন স্কুলের ভেতরে একটি কক্ষে মশারি টাঙিয়ে ঘুমিয়ে আছে। তখন তাকে তুলে একটু মেরেছি। পরে তাকে রশি দিয়ে বেধে উল্টো করে রেখেছিলাম। এরপর আর কোনো মারধর করিনি।’
মাহামুদকাঠি ইছাম উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌফিকুজ্জামান বলেন, ‘অভিযুক্ত জাকির আমার স্কুলের কেউ নয়। আমি তাকে চিনিনা।’
এলাকার ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দূরে ছিলাম। শুনেছি ওই বৃদ্ধ জাকির হোসেন শিশু বাচ্চাটিকে কয়েকদিন ধর্ষণ করেছে। এ জন্য জাকারিয়া নাকি ওই বৃদ্ধকে মেরেছে।’
নোছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতে পেরে সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’