নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ভারতে রপ্তানি শুরু হওয়ায় বরিশালে প্রতি মণ ইলিশের দাম ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেড়েছে। বিশেষ করে এলসি আকার (৭০০-৯০০ গ্রাম) থেকে বেশি ওজনের মাছ সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। স্থানীয় খুচরা বাজারে এলসি আকারের চেয়ে ছোট ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে রপ্তানির লক্ষ্যে গত বুধবার বিকেলে বরিশাল থেকে ৪ টন ইলিশ বন্দরে পাঠানো হয়েছে। এবারও আওয়ামী লীগ নেতা নিরব হোসেন টুটুলের ৫টি লাইসেন্সের বিপরীতে বরিশাল থেকে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে টুটুল বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে তার স্বজন সূত্রে জানা গেছে।
বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, রপ্তানির জন্য সারি সারি কার্টনে ইলিশ ভরে রাখা হয়েছে। বড় আকারের ইলিশ যাচ্ছে রপ্তানিতে।
পোর্ট রোডের লিয়া আড়তঘরের স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দিন বলেন, রপ্তানির জন্য বুধবার বিকেল থেকে ইলিশ যাওয়া শুরু হয়েছে। ওই দিন ৪ টন ইলিশ গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১ হাজার ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৭৬ হাজার টাকা, কেজি আকারের ইলিশ ৭৩ হাজার টাকা, এলসি আকারের (৭০০-৯০০ গ্রাম) ইলিশ ৬৬ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। এলসির প্রভাবে প্রতি মণ ইলিশের দাম গত এক সপ্তাহের চেয়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেড়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে ৫০০ মণের ওপরে ইলিশ এসেছে বরিশাল পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে।নগর আওয়ামী লীগের মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের ৫টি লাইসেন্সের বিপরীতে এবারও বরিশাল থেকে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল জেলার সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করতে পারে না। তারা কেবল মাছ যেন মজুত না করে এবং মূল্য তালিকা রাখা হয়, এ বিষয়টি দেখেন। তিনি দাবি করেন, মুক্তবাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।