মাত্র সাত ফুটের একটি গাছে আম ধরেছে প্রায় ৪০ টি। এক একটি আমের ওজন তিন থেকে চার কেজির বেশি। আমের ভারে গাছ নুয়ে পড়েছে।
বরগুনার পাথরঘাটায় আয়াতুল্লাহ এগ্রিকালচার ফার্মে ব্রুনাই কিং জাতের এই আম দেখতে ভিড় করছে মানুষ। পাথরঘাটা পৌর শহর থেকে আড়াই কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সদর ইউনিয়নের উত্তর হাতেমপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান রাসেলের আয়াতুল্লাহ এগ্রিকালচার ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, সাত ফুট উচ্চতার আম গাছটি আমের ভারে ঝুঁকে পড়েছে। গাছটির ডালপালা চতুর্দিকে অন্য গাছের সঙ্গে টানা দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে।
বাগানের মালিক আসাদুজ্জামান রাসেল জানান, তাঁর বাগানে ২৭ ধরনের ফলের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফল হচ্ছে ব্রুনাই কিং আম। এই আমগুলোর আকার দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ছোট একটি গাছে ৩৫ থেকে ৪০টি আম ধরেছে। এর মধ্যে আম পাড়া হয়েছিল। সাড়ে চার কেজি ওজন হয়েছে। এখন গাছে যেগুলো আছে ওজন তিন কেজির নিচে হবে না।
রাসেলের বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফলের মধ্যে–ত্বিন, জাপানের জাতীয় ফল বাচ্চিমন, আলুবোখারা, করোছল, মৌবাতামি, ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারাসহ অনেক প্রজাতির ফল রয়েছে।
বাগানে ঘুরতে আসা আকন মোহাম্মদ বশির জানান, জীবনে এতো বড় আম সরাসরি কখনো দেখেননি। পরিবারের সদস্যদের দেখানোর জন্য দুটি আম কিনেছেন তিনি। পাথরঘাটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, এত বড় আম সহজে পাওয়া যায় না। তাই দুটি আম সংগ্রহ করেছি। ওজন হয়েছে ৭ কেজি ৮শ গ্রাম।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল বলেন, হাতেমপুর গ্রামের রাসেল এই অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এই অঞ্চলে এ ধরনের ফল বাগান আর কোথাও দেখা যাচ্ছে না। পাথরঘাটায় আয়াতুল্লাহ এগ্রিকালচার ফার্মে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে সাড়ে চার কেজি ওজনের আম। তাছাড়া ত্বিন ফল, বাচ্চিমন, আলুবোখারা, করোছলের ফলন বেশ ভালো হয়েছে।