বরিশালে প্রায় আড়াইশ একর জমি অধিগ্রহণ চেয়ে সরকারি ১০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এভাবে অকৃষিখাতে জমি ছেড়ে দেওয়ায় বরিশালে কৃষি জমি কমে আসছে। অকৃষিখাতে একবার জমি চলে গেলে তা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। তার ওপর সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কৃষিজমিতে সোলার প্যানেল স্থাপন করলে ফসলি জমি কমবে।
আজ শনিবার ‘সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনা: ভূমি প্রাপ্যতার বাস্তবতা’ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, সড়কের ডিভাইডারে, ভবনের ছাদে প্যানেল স্থাপন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যয় কমাতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন খাতে ৭৭ শতাংশ জৈব জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বায়ু দূষণ রোধ করা যাচ্ছে না। তাই সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের দিকে যাওয়া ছাড়া আমাদের সুযোগ নেই।
নগরীর সেলিব্রেশন পয়েন্টে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা ও ক্লিন কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বক্তব্যে বলেন, ‘বরিশালে প্রায় আড়াইশ একর জমি অধিগ্রহণ চেয়ে আবেদন করেছে ১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে স্টেডিয়াম, আনসার ক্যাম্প, বাইপাস এর জন্য কৃষি জমি চাওয়া হয়েছে। অকৃষিখাতে এই জমি চলে গেলে তা আর ফেরানো যায় না। তাই কৃষি জমি রক্ষায় তাদের আরও সতর্ক হতে হবে।’
পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার রাইসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান সুপ্রভাত হালদার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আহম্মেদ পারভেজ, পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম গিয়াস উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আঞ্জুম আরা ও ক্লিনের প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী। স্বাগত বক্তব্য দেন বেলার বিভাগীয় সমন্বয়ক লিংকন বায়েন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পরিবেশবিদ, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ ৪০ জন বিভিন্ন পেশাজীবী এ কর্মশালায় অংশ নেন।