নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালের হিজলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) পংকজ নাথ ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ড. শাম্মী আহমেদের অনুসারীরা আবার মুখোমুখি হলেন। এতে উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ করেন স্থানীয় (বরিশাল-৪) এমপি পংকজ নাথ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় তাঁর অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি মিছিল আশপাশের এলাকা প্রদর্শন করে এমপির পক্ষে স্লোগান দেয়। অডিটরিয়ামের পাশের মাঠে প্যান্ডেল টানিয়ে যখন পংকজ নাথের উপস্থিতিতে কর্মসূচি চলছিল, ঠিক একই সময়ে উপজেলা চত্বরের মধ্যে শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাহমুদ দিপুর অনুসারীরা। সেখানে তাঁরা বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন। দিপু সংরক্ষিত আসনের এমপি শাম্মীর ঘনিষ্ঠ সহচর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পংকজ নাথ বেলা তিনটার দিকে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার সময় দিপুর অনুসারীরা তাঁকে ইঙ্গিত করে স্লোগান দেন। এর পাল্টা জবাব দেন পংকজের অনুসারীরা। দুই পক্ষের এই মুখোমুখি অবস্থানে পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এমপি পংকজ গাড়িযোগে স্থান ত্যাগ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান দিপুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে নেতা-কর্মীদের এমপি পংকজের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এতে ঘটনাস্থলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।
পংকজের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘শনিবারের অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এমপির কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর আহমেদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ সদস্য পংকজ নাথ কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে যাওয়ার পথে চরাঞ্চল থেকে আসা একটি মিছিল তাঁর দিকে তাকিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় এমপির অনুসারীরাও পাল্টা স্লোগান শুরু করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।