পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকিতে হালিমা আক্তার মিম (২১) নামে এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার নূতনবাজারসংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির (দারোগা) ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাসার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরে খাবার শেষ করে অগ্নিদগ্ধ ওই নারীর স্বামী ঘরের বাইরে যায়। এর কিছুক্ষণ পর দুই ব্যক্তি ঘরে ঢুকে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই নারীর স্বামী এখন তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
স্থানীয়রা জানান, দুমকির সাতানী গ্রামের বাসিন্দা প্রিন্স ও হালিমা আক্তার মিম দম্পতি চলতি মাসের ২ জুন শাহজাহান দারোগার ভাড়া বাসায় ওঠে বসবাস করছিলেন। দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই যে যার বাসায় বিশ্রাম করছিলেন। হঠাৎ প্রতিবেশী নতুন ভাড়াটে বাসায় চিৎকার ও গোঙানির শব্দে ছুটে গিয়ে বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি বন্ধ পান।
ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ হালিমা আক্তার মিমকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গড়াগড়ি করতে দেখে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার সময় স্বামী প্রিন্স বাসায় ছিল না বলে জানা যায়। আগুনে গৃহবধূর হাত, বুক, পেটসহ শরীরের অনেকাংশ ঝলসে গেছে। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।