ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সায়মা পারভীন নামের এক কলেজছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. আলী ইমাম খান অনু (২৮) থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ সোমবার সকালে শহরের ইকোপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এই হত্যাকাণ্ডের পর ওই ছাত্রলীগ নেতা নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে হত্যার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। নিহত সায়মা পারভীন তানহা ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি শহরের টিনপট্টি সড়কের শাহাদাত তালুকদারের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, ঝালকাঠি শহরের টিনপট্টি সড়কের দলিল লেখক দিদার হোসেন নান্নার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর গোপনে বিয়ে করেন প্রতিবেশী সায়মা পারভীন তানহাকে। বিয়ের পর থেকে তাঁরা আলাদাভাবে নিজের বাবার বাসায় থাকতেন।
সেখানে ফেসবুকে তানহার চ্যাটিং নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অনু ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে অনু তাঁর ফেসবুকে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে স্ট্যাটাস দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ ও ছুরি উদ্ধার করেছে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অনু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অনুকে আটক করা হয়েছে।