পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ২০০৫ সালে ডাকাতির সময় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় পাঁচ ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাত ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে ছালাম হাওলাদার (৫০), মহব্বত আলীর ছেলে মো. আলমগীর (৫৮), আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল মালেক (৬৬), মজিদ মোল্লার ছেলে মো. ফিরোজ মোল্লা (৫৭) ও আলফাজ আলীর ছেলে আইউব আলী (৫৮)। রায় ঘোষণার সময় ছালাম হাওলাদার (৫০) ও আব্দুল মালেক (৬৬) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠীর কাপালীরহাট বাজারে মো. রফিকুল ইসলামের সাইকেলের যন্ত্রাংশের দোকানে ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দল শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ক্যাশবাক্সে থাকা টাকা লুটে নেয়। এ সময় রফিকুলের ডাক–চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ডাকাতেরা পালানোর সময় কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে ওই গ্রামের আব্দুল ছোমেদের ছেলে মিজানুর রহমান পেটে গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা মিজানকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সকাল ৬টায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ ব্যক্তিকে আসামি করে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদ হাসান বাবু জানান, ২০০৫ সালের ৩ নভেম্বর ডাকাতিকালে গুলি করে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় সাত ব্যক্তিকে খালাস দেন আদালত।