হোম > সারা দেশ > বরিশাল

বরিশালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেয়রসহ আওয়ামী লীগের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এজাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নামধারী ৩৬৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। বরিশাল মহানগর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় এ এজাহার জমা দেন। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি এজাহার পেয়েছেন, কিন্তু এখনো মামলা হয়নি। কিছু সংশোধনের পর এটিই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে। 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের অপসারণ হওয়া মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর। 

আসামিদের মধ্যে ৩ জন প্যানেল মেয়রসহ মোট ১৫ জন সিটি কাউন্সিলর রয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন প্যানেল মেয়র জিয়াউর রহমান বিপ্লব, এনামুল হক বাহার ও কহিনুর বেগম, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্না, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খান মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন রয়েল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ শাসুদ্দোহা আবিদ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সামজিদুল কবির বাবু, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্না হাওলাদার, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লা, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইমরান মোল্লা,  ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আয়েশা তৌহিদ লুনা ও সালমা আক্তার শিলা। 

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা নীরব হোসেন টুটুল, শ্রমিক লীগ নেতা রইজ আহমেদ মান্না, আতিকুল্লাহ মুনিমসহ আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আনিচ, গোলাম সরোয়ার রাজিব এবং বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মঈন তুষার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অসীম দেওয়ানের নাম এজাহারে রয়েছে। 

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে গত ৪ আগস্ট দুপুরে নামধারী ৩৬৬ জন সহ অজ্ঞাত ৬০০ থেকে ৭০০ জন পরস্পর যোগসাজশে পিস্তল, শটগান, ককটেল, রামদা, চাপাতি নিয়ে নগরের সদর রোডে টাউন হলের পাশে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে। তারা গুলি করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে টিভি, কম্পিউটার, সাউন্ড সিস্টেমসহ সাড়ে ৪ লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করে। এ ছাড়া জিয়া স্মৃতি পাঠাগারে আগুন দিয়ে ৬ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। এ সময় তারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখায়। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন এবং মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। 

মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘মামলার এজাহার থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কিছু সংশোধন করা হচ্ছে। সেসব নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।’

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে পটুয়াখালীর তাপবিদ্যুৎ

আ.লীগের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নাই, হত্যা গুম খুনে জড়িতদের বিচার চাই: মিন্টু

পুলিশ লাইনসে নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ

নিষিদ্ধ বেহুন্দি জালে দেদার পোনা নিধন

বরিশালে সড়কে ঝরল সেনাসদস্যের স্ত্রীসহ ২ জনের প্রাণ

মির্জাগঞ্জে ৫ বছরেও শেষ হয়নি স্কুল ভবনের নির্মাণকাজ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

হলের নাম দেড় মাসেও বদল না করায় ক্ষোভ

বরিশালে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

বিএনপি নেতার হাত-পা বেঁধে বাড়ি লুট

বরিশাল নগরে মহাসড়ক দখল করে নির্মিত পার্ক উচ্ছেদের উদ্যোগ

সেকশন