জুমার নামাজ পরতে বাড়ি থেকে বের হয়ে পথে দুটি হনুমান দেখে অভ্যাসবশত ফোনের ক্যামেরা তাক করেন সাংবাদিক। কিন্তু এটা তাদের ভালো লাগেনি। তেড়ে আসে আলোকচিত্রীর দিকে। হনুমানের অকস্মাৎ এই আগ্রাসী আচরণে হতচকিত হয়ে ভোঁ দৌড় দেন সাংবাদিক। সামনে লোহার গেটে ধাক্কা খেয়ে পা যায় ভেঙে। তিনি এখন হাসপাতালের বেডে।
ঘটনাটি ঘটে পিরোজপুর শহরে আজ শুক্রবার দুপুরে। আক্রান্ত সাংবাদিক হাসান মামুন একটি জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি।
আহত হাসান মামুন জানান, তিনি জুমার নামাজ আদায় করতে দুপুরে রাস্তায় বের হন। এমন সময় দুটি হনুমানকে দেখে কৌতূহলবশত পকেট থেকে সেলফোন বের করে ছবি তুলতে যান। হনুমান দুটো আচমকা তাঁর দিকে তেড়ে আসে। দৌড় দিলে তারাও পেছন ধাওয়া করে। আত্মরক্ষার জন্য পাশের একটি বাড়ির লোহার ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আছড়ে পড়ে যান তিনি। বাম পায়ে প্রচণ্ড আঘাত পান। শরীরেরও বিভিন্ন অংশ কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। তাঁকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করেন। সেখানে এক্স–রে করে দেখা যায় তাঁর বাম পায়ের হাড় ফেটে গেছে। সেখানে পা প্লাস্টার করা হয়েছে।
পিরোজপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইদানীং হনুমানের আনাগোনা বেড়েছে। খাবারের সন্ধানে তারা আবাসিক এলাকায় এসে পড়ছে। এতে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আবার কেউ দয়াপরবশ হয়ে খাবার এগিয়ে দেন।