পিরোজপুরের নেছারাবাদে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে পঞ্চাশ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণ ও স্বর্ণালংকার-টাকাসহ ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই নারীর পুত্রবধূকেও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘরে ছয়জন ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১ মার্চ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনার তদন্ত শেষে মামলা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী পুত্রবধূ জানান, ৩১ মার্চ রাত আনুমানিক ২টার দিকে চোরেরা সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে। তারা তাঁর শ্বশুরকে মুখ-হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। একপর্যায়ে তাঁর শাশুড়িকে (৫০) ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, ‘আমি চিৎকার করে লোকজন ডাকার চেষ্টা করলে চোরেরা আমার শিশুসন্তানকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমাকেও ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমাকে কিল-ঘুষি মেরে ঘরের স্বর্ণালংকারসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র নিয়ে চলে যায়।’
ভুক্তভোগী বৃদ্ধার ছেলে জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি ধারণা করতে পারছেন না। এ ঘটনায় তিনি নেছারাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনে মামলা নেওয়া হবে।’