দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকিতে অনুপস্থিতির কারণে শোকজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষকে মারধর করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের আরেক প্রভাষক ও তাঁর স্বজনেরা। এ সময় অফিস ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী মো. শাহ জালালকে প্রথমে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরবি প্রভাষক মো. মজিবুর রহমান ওরফে কামালসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত শনিবার অনুপস্থিত থাকায় আরবি প্রভাষক মাওলানা মজিবুর রহমান কামালকে শোকজ করেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী মো. শাহজালাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে অধ্যক্ষ মাদ্রাসার গেটে পৌঁছালে মজিবুর রহমান কামাল ও তাঁর ছেলে রইসউদ্দিন, বোন ফজিলাতুন্নেসা ও ভাগনে ইমরান হোসেন খানসহ স্বজনেরা অতর্কিত হামলা চালান। এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তাঁকে। খবর পেয়ে মাদ্রাসার সহকর্মীরা আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এদিকে অভিযুক্তরা মাদ্রাসার অফিসরুমে ঢুকে অধ্যক্ষের টেবিলের গ্লাস, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক মাওলানা মজিবুর রহমান কামালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ নিয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় মাদ্রাসার অফিস সহকারী মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।