বরগুনার আমতলীতে যুবদলের এক নেতা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ৫ লাখ টাকার অধিক লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই নেতার দাবি, তাঁকে কোপানোর ঘটনা ধামাচাপা দিতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
উপজেলার বাঁধঘাট চৌরাস্তায় অবস্থিত মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মালিক মো. মোশাররফ হোসেন গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত সামসুল হক চৌকিদার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর।
লিখিত বক্তব্যে মোশাররফ বলেন, গত বছরের এপ্রিলে পৌরসভা নির্বাচনে সেলিম রেজা টিটু ও সামসুল হক চৌকিদার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে সেলিমের পক্ষে মোশাররফ কাজ করায় তাঁর ওপর সামসুল ক্ষুব্ধ হন। এর জেরে গত শনিবার দুপুরে সামসুল এবং তাঁর সহযোগী মতি চৌকিদার, মিল্টন, রেজাউল ও ইমরান খাঁন তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে ৫ লাখ ৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন।
মোশাররফ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না; তারপরও আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তারা হামলা, লুটপাট করেছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবি করছি।’
জানতে চাইলে যুবদল নেতা সামসুল বলেন, ‘কবির ফকির (মোশাররফের পক্ষ) ও তাঁর লোকজন আমাকে এবং আমার লোকজনকে কুপিয়ে আহত করেছে। ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে দোকান ভাঙচুর ও লুটের নাটক সাজাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।’
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।