বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের নতুন কার্যকরী কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার গঠিত হয়েছে। ২৮ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই খোকন গ্রুপ ও সাদিক গ্রুপের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
আজ শুক্রবার সকালে শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে জড়ায় খায়ের গ্রুপ ও সাদিক গ্রুপের অনুসারীরা। দফায় দফায় হাতাহাতিতে জড়ায় তাঁরা। এতে সকাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দূরপাল্লার বাস চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনো বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল।
খোকনের অনুসারীদের অভিযোগ, এই কমিটি বিতর্কিত। নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রইছ আহমেদ মান্না। যার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকার কর্মীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। মূলত আধিপত্য ধরে রাখতে একতরফাভাবে অঙ্গসংগঠনের কমিটি গোছাচ্ছেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ।
নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, নগরের শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে, খায়ের গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আফতাব হোসেন। অপরদিকে সাদেক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কামাল হোসেন লিটন মোল্লা। সিটি নির্বাচনের পর সাদিক অনুসারীদের হটিয়ে টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নেন আফতাব। সাদিকপন্থীরা পুনরায় টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টার করলে গত কয়েক দিন ধরে টার্মিনাল এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাস মালিক নেতা আফতাব হোসেন জানান, বিদায়ী মেয়র সাদিকের ইন্ধনে লিটন মোল্লা টার্মিনালে অরাজকতার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
লিটন মোল্লা বলেন, তিনি শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন দাবি করায় আফতাবের নির্দেশে হামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
তবে মহানগর শ্রমিক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, ২০১৫ সালের পর নতুন কমিটি গঠিত হলো। কমিটিতে হাসানাত ভাই, মেয়র সাদিক সুপারিশ করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগই তো শ্রমিক লীগের নেতৃত্ব দেবে। এ জন্যই মান্নাকে সম্পাদক করা হয়েছে।
অন্যদিকে ২০০৩ সালে গঠিত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি এখনো বহাল রয়েছে। ২০ বছর আগের সেই কমিটি এখন ৩০টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে। হঠাৎ ওয়ার্ড কমিটি গঠনের উদ্যোগের বিষয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ বলেন, আগেও তাঁরা কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির অনেকে মারা গেছেন, আবার অনেকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। তাই তাঁরা নতুন করে কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন।