ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম ক্বেরাতিয়া কওমি মাদ্রাসায় একদল যুবক হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) গভীর রাতে ১৫-২০ জন যুবক ধারালো অস্ত্রসহকারে এই হামলা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘সোমবার রাত ১২টার দিকে আলামিন ও তার বাবা মন্নান লস্করের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন্য যুবক লোহার রড, ধারালো অস্ত্র ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালায়। তারা মাদ্রাসার একটি ঘর কুপিয়ে ভেঙে ফেলে। এ সময় তারা হেফজ বিভাগের ওই কক্ষে রক্ষিত কিতাব ও অন্যান্য আসবাব তছনছ করে চলে যায়। তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।’ এর আগেও এ মাদ্রাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান মাদ্রাসার পরিচালক।
তিনি আরও বলেন, ‘হামলার পরপরই আমি বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হানুজ্জামানকে জানাই। তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান।’
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আলামিন বলেন, ‘মাদ্রাসায় হামলা ও বেড়া ভেঙে ফেলার শব্দ শুনে আমরা সেখানে যাই। যাওয়ার পর মাদ্রাসার পরিচালক এ হামলার জন্য আমাকে দায়ী করেন। আমাকে মারধরও করেন। আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। কিন্তু এ হামলার ঘটনায় আমি জড়িত নই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হানুজ্জামান আজ মঙ্গলবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু কেন এ ঘটনা ঘটেছে বিস্তারিত জানি না।’
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।’