হোম > সারা দেশ > বরগুনা

আমতলীতে ব্যবসায়ী মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 

নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয়। ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে ব্যবসায়ী নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয়ের মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রীসহ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গ্রেপ্তার খালিদকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তনয়ের বড় বোন অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মৃত তনয় আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নান্নু মোল্লার ছেলে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, নিয়াজ মোর্শ্বেদ তয়নকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে খালিদ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে খালিদকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে তনয়ের সঙ্গে চাওড়া চলাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক গাজীর মেয়ে ফারিয়া জান্নাতি মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর তনয় জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীর আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে।

তাঁদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে মীমের পরকীয়ার বিষয় জানতে পারেন তনয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মীমকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর তালাক দেন। তালাক নোটিশ পেয়ে ১৭ অক্টোবর মীম তনয়ের বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশ তনয়কে গ্রেপ্তার করেন। এ মামলায় তনয় ১১ দিন জেলহাজতে ছিলেন।

এ ছাড়া গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় চাচা শ্বশুর আতিক মঞ্জু গাজী নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তনয়কে তাঁর বাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে আসে। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ নভেম্বর মামলার বাদী আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যাওয়ার পথে তনয়ের চাচা শ্বশুর আতিক মঞ্জু গাজী ও অভিযুক্তরা তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ছাড়াও মীম ও তার দলবল তনয়কে বিভিন্ন ভাবে বুলিং ও হয়রানি করত। এতে তনয় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ফলে সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।

২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) ভোরে তনয় স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ির ও তার স্বজনদের নির্যাতনের বর্ণনা স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষপান করেন। স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে এদিন সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক মনিরুজ্জামান খাঁন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরদিন শনিবার দুপুরে তনয় মারা যান।

মামলার বাদী তানিয়া আক্তার বলেন, আমার ভাইকে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশা করি আমি ন্যায় বিচার পাব।

স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীম ও তার বাবা ফারুক গাজীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সরকারি খাল দখল, অবৈধ দোকানঘর নির্মাণ

খালের পাড় থেকে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ

বরিশাল বিমানবন্দর ওসমান হাদির নামে নামকরণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

নেছারাবাদে হাসপাতালে যাওয়ার ঘাট বন্ধ করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ভোগান্তিতে রোগীরা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জিয়াউল আহসানের পৈতৃক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর

নানা বিতর্কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

বরিশালের ৬ আসন: বিএনপির চ্যালেঞ্জ ৪ আসনে

সেলিমা রহমানের মনোনয়ন দাবিতে বাবুগঞ্জে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ

বরিশালে বিএনপির ২ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ