পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের আত্মার শান্তি কামনায় বরগুনার পাথরঘাটায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এ সময় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তাঁর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। স্মৃতিচারণা করে স্থানীয়রা বলেন, তোফাজ্জল খুবই হাস্যরসাত্মক লোক ছিলেন। তাঁকে কখনোই কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে দেখিনি। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হোসেনের কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা।
সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন বলেন, ‘তোফাজ্জলকে অর্থ দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। ওর ভাইয়ের মৃত্যুর পর সে আবার অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। তোফাজ্জল আমার কোনো নিকট আত্মীয় নয়, তবু ওর জন্য মায়া লাগে। এ রকম একটা কাজ (হত্যাকাণ্ড) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে, তা ভাবা যায় না। দুনিয়ায় ওর মা-বাবা-ভাই কেউ বেঁচে নেই। তবে ওর মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশ কেঁদেছে। আমি অভিভাবক হিসেবে প্রতিবছর ওর জন্য দোয়া মিলাদ চালিয়ে যাব।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণা করে স্থানীয়রা বলেন, ‘তোফাজ্জল খুবই হাস্যরসিক লোক ছিলেন। তাঁকে আমরা কখনোই কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে দেখিনি। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও সবার সঙ্গেই হাসিমুখে কথা বলতেন তিনি। আমরা এই মৃত্যুকে কোনোভাবেই মানতে পারছি না। দেশের সর্বোচ্চ একটা বিদ্যাপীঠে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটবে তা ভাবতেও পারিনি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটক করেন ঢাবি ফজলুল হক মুসলিম হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে কয়েক দফায় মারধর করায় ওই দিন রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।