আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীর দাবি নিয়ে স্বামীর বাড়ি গেলে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির পর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী লিলি মন্ডল (২২) উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের সুবোধ মন্ডলের মেয়ে এবং শশীকর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর স্বামী একই উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামের তাপস হালদারের ছেলে সৌভিক হালদার (২৩)।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, লিলি মন্ডলের সঙ্গে সৌভিক হালদার ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে গেন্ডারিয়া শ্রী শ্রী শিবমন্দিরে বিয়ে করেন। পরে একই বছরের ৭ এপ্রিল বরিশাল নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে গিয়ে পুনরায় আদালতের মাধ্যমে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তাঁরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। এ ঘটনায় সৌভিকের বাবা তাপস হালদার ও মা নিতু রানী হালদার জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা লিলিকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে চান না। গতকাল সকালে লিলি স্বামীর অধিকার নিয়ে সৌভিকের বাড়িতে গেলে শারীরিক নির্যাতনের পর তাঁর পরনের কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করেন তাপস হালদার।
এ ঘটনায় বাধা দিতে গেলে লিলি মন্ডলের মা ববিতা হালদার ও প্রতিবেশী সুবর্ণা হালদারকে মারধর করে আহত করেন তাঁরা। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
লিলি মন্ডল বলেন, ‘স্বামীর বাড়িতে ওঠার চেষ্টা করা হলে আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেন শ্বশুর।’
এ বিষয়ে সৌভিক হালদার বলেন, ‘লিলি মন্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে আমরা গেন্ডারিয়ার শ্রীশ্রী শিবমন্দিরে গিয়ে বিয়ে করি এবং বরিশাল নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে গিয়ে পুনরায় আদালতের মাধ্যমেও আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আমরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করি। কিন্তু আমার স্ত্রীকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে চাইছে না পরিবার।’
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, এক কলেজছাত্রী তাঁর স্বামীর বাড়িতে গেলে শারীরিক নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।