প্রতিনিধি, চরফ্যাশন (ভোলা)
দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুশ্রম প্রকট আকার ধারণ করছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান রাস্তায় দেখা যায়, শিশুশিক্ষার্থীরা রাস্তাঘাটে অস্থায়ী পসরা সাজিয়ে মুখরোচক খাবার বিক্রি করছে।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মনির হোসেন জানায়, সে ১২০ টাকার খাবার বিক্রি করেছে।
সেলিম রানা নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘শিশুদের ঘরবন্দী করে রাখা যাচ্ছে না। স্কুল বন্ধ থাকায় তারা পড়াশোনা ভুলে যাচ্ছে। ওদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা উচিত।’
দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘গ্রামের শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। করোনা মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। শিশুদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে, সে লক্ষ্যে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’
চরফ্যাশন উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা তৃষিত কুমার চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় আনতে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। শিশুশিক্ষার্থীরা এ ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’