দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে চর দখল, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যুবদলের আরেক নেতাকে সংগঠনের নেতা বা সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল জোমাদ্দার ও মো. জুয়েল আমিন প্যাদার বিরুদ্ধে চর দখল এবং দলীয় শৃঙ্খলা–পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ২৪ ডিসেম্বর জেলা যুবদলের এক জরুরি সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব।
অন্যদিকে, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কাজী হাসানুজ্জামান হাসানের বিরুদ্ধে চর দখল, চাঁদাবাজি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক রতনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় কাজী হাসানকে সংগঠনের কোনো নেতা বা সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব স্বাক্ষরিত একটি বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
জেলা যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘যুবদল সব সময় সাধারণ জনগণের স্বার্থে কাজ করে। চর দখল ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সোহেল জোমাদ্দার ও জুয়েল আমিন প্যাদার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর পাওয়ার পর পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে অভিযুক্ত সোহেল জোমাদ্দার ও জুয়েল আমিন প্যাদা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি একটি চক্রান্ত। অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
অন্যদিকে, কাজী হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, ‘আমি বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদে আছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে ভুল বুঝিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব শামিম খান বলেন, ‘কাজী হাসানুজ্জামান সংগঠনের কেউ নন। তাঁর কর্মকাণ্ডের দায় উপজেলা যুবদল নেবে না।’