মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
নারীদের জরায়ুমুখে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এইচপিভি টিকা নেওয়ার পর দুই দিনে দুই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ছাত্রীরা ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আজ মঙ্গল ও গত রোববার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভিকাখালি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মনোয়ারখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
ভিকাখালি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির বৃষ্টি আক্তার এবং নবম শ্রেণির শাহানাজ আক্তার, জান্নাতুল, সুরাইয়া, সাথী, সাইফা ও লামিয়া আক্তারসহ সাতজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। একদিন আগে মনোহারখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মোসা. জান্নাতুল ইসলাম, মিম আক্তার, আসমা আক্তার, নাজমা আক্তার ও শাহনাজ আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁদের মাথা ঘোরাসহ হাত-পা কাঁপে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, রোববার মনোহারখালি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও মঙ্গলবার ভিকাখালি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়। এতে দুই প্রতিষ্ঠানের ১২ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভিকাখালি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের টিকা দিতে আসে। অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে টিকা দেওয়ার পরই ৭ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তেন মং আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকা দেওয়ার পরে ভয়ভীতির কারণে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে তাদের মনোবল বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।