মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদীতে এক কৃষককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বাদীর স্বজনেরা তাঁকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আহতের ছেলে আজ বুধবার বিকেলে মুলাদী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে, ২২ অক্টোবর ভোর ৬টার দিকে উপজেলার জাগরনী বাজার লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম আবুল বয়াতি (৬০)। উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পেশায় কৃষক তিনি।
আবুল বয়াতি আহতাবস্থায় ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি আছেন। মারধরের ঘটনায় আবুল বয়াতির ছেলে সাইফুল ইসলাম আজ বুধবার বিকেলে মুলাদী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টুমচর গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল শাহ খুন হন। ওই ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী ইউপি সদস্য নার্গিস বেগম বাদী হয়ে মুলাদী থানায় মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আবুল বয়াতিকে সাক্ষী দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকায় তিনি সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাদীর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হন।
২২ অক্টোবর আবুল বয়াতি বাড়ি থেকে জাগরনী বাজার লঞ্চঘাটে পৌঁছালে বাদী নার্গিস বেগমের দেবর রুমন শাহ, ছেলে আশরাফুল শাহ, ভাই সেন্টু ও মন্টুসহ ৫-৬ জন পথরোধ করে এবং তাঁকে বেঁধে লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাড়ে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে পিটিয়ে দুই পা ও বাম হাত ভেঙে দেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ওই দিনই ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতাল ভর্তি করেন।
মামলার বাদী নার্গিস বেগম বলেন, ‘রুবেল শাহ হত্যা মামলায় আবুল বয়াতি নামের কোনো সাক্ষী নেই। তাঁকে সাক্ষ্য দিতেও অনুরোধ করা হয়নি। তিনি অন্য কারও হামলার শিকার হয়ে আমার লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, ‘এক ব্যক্তির হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’