প্রথম সন্তান জন্ম নেওয়ার ১০ বছর পর দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হন রিয়াজ। জন্মের পর থেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল শিশুসন্তানটি। বর্তমানে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অফিস থেকে ছুটি না পাওয়ায় এত দিন যেতে পারেননি রিয়াজ।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অভিযান-১০ লঞ্চে বরগুনার বেতাগীতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ছেলে সিফাতুল্লাহর চাঁদমুখ দেখার আগেই ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর।
রিয়াজ বেতাগী উপজেলার কাজীরাবাদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
রিয়াজের মা পিয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘রিয়াজের স্ত্রী মুক্তা ও তাঁর ছেলে সিফাতুল্লাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছেলে বাবার জন্য হাসপাতালে অপেক্ষা করছে। আমি এখন আমার ছেলের মরদেহ নিয়ে কীভাবে তাদের সামনে যাব?’