নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
মোবাইল গেম ফ্রি ফায়ার খেলার মাধ্যমে কিশোরীর সঙ্গে যুবকের পরিচয়। মাত্র দেড় মাসের পরিচয়ে যুবকের কাছে ২১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ খুইয়েছে কিশোরী। প্রতারক চক্রের মূল হোতা নাফিজুর রহমান (২২) ও তাঁর সহযোগী শফিউল আলম প্রিন্সকে (২৩) গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার এসব তথ্য জানিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)।
গ্রেপ্তার নাফিজুর বরিশাল বিমানবন্দর থানার আওতাধীন বাবুগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাংশা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। তাঁর সহযোগী শফিউল আলম প্রিন্স গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। থানায় অভিযোগ দেওয়া কিশোরী (১৭) ঢাকার লালবাগ এলাকার বাসিন্দা।
আজ দুপুরে বিএমপির উত্তর বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপপুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ভুক্তভোগী (কিশোরী) গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটনের লালবাগ থানায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দেয়। লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে বরিশালের বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে পাঠান। পাশাপাশি লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমানবন্দর থানা-পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন।
বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনজীত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে গতকাল দিবাগত রাতে বাবুগঞ্জের রহমতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের হোতা নাফিজুর ও তাঁর সহযোগী প্রিন্সকেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১১ ভরি ১ আনা ২ রতি স্বর্ণালংকার, নগদ ৭১০ টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার কিশোরের কাছ থেকে ২১ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান নাফিজুর। এর আগে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কিশোরীর কাছ থেকে আরও ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রটি।