বরিশালে জনতার হাতে আটক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই ট্রাক পুরোনো নথির রহস্য খোলাসা হয়েছে। স্থানীয়রা ট্রাকভর্তি এ জিনিসপত্রকে সচিবালয়ের গোপন নথি ভেবে গত শুক্রবার রাতে আটকে দেয়। নগরীসংলগ্ন চরবারিয়া ইউনিয়নের কাগাসুরা বাজারে এ নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
এ নিয়ে গুজব ছড়ালে পরে জানা যায়, ট্রাক দুটিতে কোনো গোপন নথিপত্র নয়, ছিল বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পুরোনো কাগজপত্র।
আজ রোববার এ প্রসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৯৯২ সালের পর থেকে জমা হওয়া বিভিন্ন শিডিউলের ফটোকপি অফিসে জমা হয়েছিল। রুম খালি করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে নথিগুলো পুড়িয়ে ফেলার জন্য কাউনিয়ায় ময়লার ভাগাড়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো ভাগাড়ে না নিয়ে ভাড়াটে শ্রমিকেরা বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্যত্র নিয়ে যায়। সন্দেহবশত স্থানীয় জনতা ট্রাক দুটি আটক করলে পুলিশের সহায়তায় আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পুরোনো মালামাল নিলামে বিক্রির নিয়ম থাকলেও নথি নিলামে বিক্রির নিয়ম নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল ইসলাম সাবু বলেন, শুক্রবার রাতে ট্রাক দুটি ওই এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। এতে বিপুল পরিমাণ অফিশিয়াল কাগজ দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয় যে এগুলো সচিবালয়ের নথি কি না। পরে তাঁরা ট্রাক দুটি আটক করেন। কিন্তু একপর্যায়ে দেখা যায় ট্রাক দুটিতে পুরোনো কাগজপত্র ছাড়া কিছুই নেই। সচিবালয়ের নথির নামে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাগাসুরারে লোকজন ট্রাক দুটি আটক করে। পরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে যান। গভীর রাতে ট্রাক দুটি তাঁদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লিখিত বিবরণী দিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে ট্রাক দুটি ছাড়িয়ে নিয়ে যান।