ঝালকাঠি প্রতিনিধি
৮ বছর বয়সী পুত্র নাইমকে ডাক্তার দেখাতে বরিশালের বাসে উঠেন দক্ষিণ ভান্ডারিয়া নিবাসী তারেক (৪০)। ভান্ডারিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল ৯টায় বাশার স্মৃতি পরিবহন নামে বাসটির যাত্রী হন তারা। প্রায় সারা পথ ধীর গতিতে বাস চালিয়ে যাত্রী সংগ্রহ করেন চালক।
এতে বরিশালে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় প্রায় শেষ হয়ে যায় বাসটির। তাই ঝালকাঠির কাছে এসে চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ছত্রকান্দা নামক স্থানে পৌঁছালে গতি না কমিয়ে একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে গাড়িটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়।
সেখান থেকে ১৭ জনকে মৃতাবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে তারেক মারা গেলেও শিশু নাইমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়। তারেককে সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মুছরা খেতে একথাগুলো বলেন তারেকের ভাই সাগর।
সাগর জানান, ভাইর ছেলেটা অসুস্থ, তাকে সুস্থ করতে ভাই বরিশালে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় পড়ে ভাই চিরতরে হারিয়ে গেলো। ভাইর শোকে পুরো পরিবার এখন মুহ্যমান। পরিবারটির উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।