প্রতিনিধি
মির্জাগঞ্জ: মির্জাগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ফনীর চেয়েও ইয়াসের কারণে সৃষ্ট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে প্রায় দ্বিগুণ ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার রামপুর ও চরখালী গ্রামের ৪১/৭ ফোল্ডারের পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবাহিত হয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দী হয়ে পরে প্রায় ২০ সহস্রাধিক মানুষ। ব্যাপক ক্ষতি হয় রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়িসহ কৃষিক্ষেতের। মির্জাগঞ্জে ফনীর আঘাতে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি টাকা। ইয়াসে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ৪ থেকে ৫ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৬০ বর্গকিলোমিটার গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে ৭০টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও ৯শত ৮০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৬ হেক্টর খামার হ্যাচারি, ২২৩ হেক্টর জমির ফসল ও ১০০ হেক্টর জমির বীজতলা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০কি.মি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭০ কিলোমিটার। ৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ২কি.মি.আংশিক পাকা সড়ক, ৫০ কিলোমিটার সম্পূর্ণ কাঁচা সড়ক ও ১০০ কিলোমিটার আংশিক কাঁচা সড়কের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও ৫০টি মসজিদ, ৩টি মন্দির,সাড়ে ৫ কিলোমিটার বনায়ন, প্রায় ৩ হেক্টর নার্সারি ও পুকুর ২২৫ টিসহ প্রায় ৩৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মনিরুল ইসলাম তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে রামপুর এলাকার পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া শ্রীমন্ত নদীর শৌলজালীয়া লঞ্চঘাট থেকে উত্তর মাধবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাঁচা ও পাকা রাস্তার বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়। উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নেই ইয়াসের আঘাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ইয়াসের প্রভাবে মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।