নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দালালের তৎপরতা নির্মূল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা হাসপাতাল চত্বরে সচেতনতামূলক র্যালি করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তারা এই কর্মসূচি শেষে হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ছাত্ররা এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলামকে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, মেডিসিন ওয়ার্ডের অব্যবস্থাপনা, অনুপস্থিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নার্সদের কাজ ফেলে মোবাইল ব্যবহার, থ্যালাসেমিয়া ওয়ার্ড চালু, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে চিকিৎসকদের কক্ষে তৎপরতা, অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের দৌরাত্ম্য, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশ রোধ, দালাল নির্মূল, পরিচ্ছন্নতাসহ নানা বিষয় তুলে ধরে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
জবাবে পরিচালক ডা. সাইফুল বলেন, তিনি এসব সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছেন। কিন্তু নানা কারণে পাড়তেছেন না। শেবাচিম হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে পুলিশ প্রশাসন, গণপূর্ত বিভাগ, বিআরটিএকে সহযোগিতা করতে হবে। আপনারা তাদেরও বলেন। তিনি বলেন, শেবাচিমে যত সমস্যা তার ৯৫ ভাগই গণপূর্তের জন্য। গণপূর্ত বিভাগ অবকাঠামো উন্নয়ন সময় মত করছে না।
তিনি বলেন, হাসপাতালে একটি পানির কল বিকল হয়ে পানি পড়ে গেলেও সহজে সেটি মেরামত করে না গণপূর্ত বিভাগ।
ডা. সাইফুল বলেন, যেসব চিকিৎসক আসেন না তাদের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছেন। তিনি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মী নিয়োগে সহযোগিতা জন্য ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানান।
পরিচালক বলেন, আমি অনিয়ম করলে আমাকেও ধরেন। তিনি নার্সদের ডেকে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে বলেন, ‘এখন দেশ পরিবর্তন হয়েছে। কোনো ছাড় নয়।’
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা পরিচালককে বলেন, আমাদের চাওয়া আপনি যত দিন দায়িত্ব পালন করবেন তত দিন মানসম্মত সেবা দিবেন। আমরা ছাত্ররা যে লক্ষে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছি তা হয়তো অনেকদিন করা হবে না। কিন্তু চেষ্টা করে যাব।