ভোলার লালমোহনে ১৯৯১ সালে ১৬৩ নম্বর কুমারখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১২৪ শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য রয়েছে মাত্র একজন শিক্ষক।
জানা যায়, এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে একজন প্রধান শিক্ষক ও ৩ জন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তবে পর্যায়ক্রমে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রধানসহ একে একে তিনজন শিক্ষক অবসর গ্রহণ করেন। বাকি আছেন একজন শিক্ষক কাজল রেখা। তিনি ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর থেকে পুরো বিদ্যালয়ের ৫টি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি যাবতীয় দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। এমনকি বিদ্যালয়টি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও করেন তিনি। কারণ বিদ্যালয়টিতে নেই চতুর্থ শ্রেণির কোন কর্মচারী। এরই মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলার পর পুরো বিদ্যালয়ের পাঁচ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একাই পাঠদান করাচ্ছেন কাজল রেখা। এতে চরম বিপত্তিতে পড়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন শিক্ষক দিয়ে পুরো স্কুলশিক্ষার্থীদের পাঠদান করা সম্ভব না। এতে করে একজনের ওপর যেমন মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। অপরদিকে শিক্ষার্থীদেরও পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। তাই অতি দ্রুত বিদ্যালয়ে আরও শিক্ষক বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজল রেখা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১২৪ জন শিক্ষার্থীকে একা পাঠদান করাতে অনেক কষ্ট হয়। বিদ্যালয়ে আরও শিক্ষকের প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, এখন জেনেছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।