পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে বাউফল থানায় মামলাটি করে।
বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাদ্দাম হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, থানায় মামলার এজাহার হয়েছে। অতি দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
গত ৩০ জুন এ ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মীমাংসার কথা বলে সময় নষ্ট করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী (১৬) এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত পরীক্ষায় একটি বিষয়ে খারাপ হওয়ায় সে বিষয়ে শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাসায় গিয়ে সে কোচিং করত। গত ৩০ জুন বিকেলে কোচিং শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে তাকে বসতে বলা হয়। পরে কক্ষের দরজা বন্ধ করে শহিদুল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় শিক্ষার্থী দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানায়।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সালিস মীমাংসার মাধ্যমে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে সময় নষ্ট করেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা করেছি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস পাঠিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।