কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সৈকতে পর্যটকের আগমন ঘটে। গত শুক্রবার এবং আজ শনিবার এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
আগত পর্যটকেরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। আবার অনেকে ঘুরছেন ঘোড়া, মোটরসাইকেল কিংবা ওয়াটার বাইকে। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতিতে অনেকটা উচ্ছ্বসিত এখানকার ব্যবসায়ীরা। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল-মোটেল। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছেন টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক লাবিব আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। সৈকত আর সাগরের ঢেউ বেশ মুগ্ধ হয়েছি। তবে সৈকতের বেহাল দশা দেখে হতাশ হয়েছি। যত্রতত্র পড়ে থাকা জিও টিউব আর জিও ব্যাগের কারণে আসল সৌন্দর্য নির্বিঘ্নে উপভোগ করা যায় না।’
সিলেট থেকে আসা পর্যটক সুনীল কর্মকার জানান, কুয়াকাটায় আসতে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার প্রয়োজন। এখানে উপভোগ করার অনেক স্পট আছে। তবে সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় কাজ করা উচিত।
কুয়াকাটা খাবার হোটেল পায়রা মিনি চাইনিজ অ্যান্ড রেস্টুরেন্টর ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বিগত দিনে বিক্রি খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভালোই বিক্রি করতে পেরেছি।’
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি কেএম জহির আজকের পত্রিকাকে জানান, কয়েক দিন ধরে পর্যটক আসতে শুরু করছে। সাধ্যমতো তাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. আনসার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। দেশে চলমান অস্থিরতা কেটে যাওয়ার ফলে পর্যটক বাড়ছে কুয়াকাটায়। তাদের নিরাপদ ভ্রমণে মাইকিংসহ সব প্রস্তুতি রয়েছে।’