করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সব জায়গায় টিকাদান কর্মসূচি চললেও টিকা পাননি ভোলার লালমোহনের বেদে পরিবারের লোকজন। টিকার বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই তাঁদের। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে তাঁরা উদাসীন।
জানা যায়, লালমোহন স্টেডিয়াম মাঠে গত কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন অর্ধশতাধিক বেদে। করোনা সচেতনতায় প্রচার-প্রচারণা চললেও করোনা সম্পর্কে বেদেরা জানেন না। কীভাবে করোনার টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হয়, তা-ও তাঁরা জানা নেই। তাই টিকা পেতে আগ্রহ নেই তাঁদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বেদে সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ গ্রামগঞ্জে, হাটবাজারে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাপের খেলা, পুকুরে হারানো জিনিসপত্র খুঁজে দেওয়া এবং ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। করোনাকালীন তাঁদের কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। তৃণমূল পর্যায়ে করোনা টিকার ক্যাম্পেইন চললেও আজও টিকার আওতায় আসেননি বেদেরা। এতে করোনা সংক্রমের ঝুঁকিতে পড়েছেন বেদেরা। শুধু লালমোহন নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বেশির ভাগ বেদে পরিবার করোনার টিকা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
লালমোহনের বেদে সম্প্রদায়ের সদস্যরা বলেন, `করোনা থেকে সুরক্ষায় আমাদের টিকা নেওয়া দরকার। কিন্তু আমরা কীভাবে টিকা নেব তা জানি না। কেউ আমাদের টিকা নেওয়ার ব্যাপারে বলেনি। তাই টিকা দিতে পারিনি। টিকা নেওয়ার ইচ্ছা আছে আমাদের।'
বেদেরা অভিযোগ করে বলেন, `আমাদের বেদেপল্লিতে কেউ করোনা বিষয়ে কিছুই জানায়নি। করোনা সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। তবে করোনা রোগ সম্পর্কে আমরা শুনেছি। আমরা সারা দিন গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়াই। আমাদের থেকেও করোনা ছড়াতে পারে। এতে আমরাও আতঙ্কের মধ্যে আছি।'
বেদে সর্দার আমির হোসেন বলেন, `আমাদের এখানে ১০টি বেদে পরিবার রয়েছে। তাদের কেউ করোনার টিকা পায়নি। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে পরিবারগুলো।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা বলেন, বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে তাঁদের এক সপ্তাহের মধ্যে টিকার আওতায় আনা হবে।