পটুয়াখালী পটুয়াখালী
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ শনিবার রাত ৯টার পর ঘূর্ণিঝড় রিমালে রূপ নেবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
আবহাওয়া অধিদপ্তরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মডেল বিশ্লেষণ করে যেসব তথ্য পাচ্ছি, তাতে এটি আজ রাত ৯টার পর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঝড়ের শক্তি বাড়ার আশঙ্কা আছে। যেহেতু সাগরের মাঝ বরাবর দিয়ে আসছে তাতে ডানে-বামে চতুর্দিকে সে শক্তি সঞ্চয় করতে পারছে। যদি ভারতীয় উপকূল ঘেঁষে আসত তবে শক্তি কম থাকত।’
নিম্নচাপের প্রভাব ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সভা করেছে পটুয়াখালী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভা হয়। জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যোবায়ের আহাম্মেদ প্রমুখ।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় ৩৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। ৭৩০ টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গোখাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড় শুকনা খাবার রয়েছে দেড় হাজার প্যাকেট। নগদ টাকা রয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার টাকা ৫০০ টাকা। জেলায় ৮ হাজার ৭৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় মোট ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষিত রয়েছে।