রাজধানীর মিরপুরে জলাবদ্ধ রাস্তায় বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের মারা যাওয়া তিনজনের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে জানাজা শেষে ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের আগরপাশা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিজান হাওলাদার, স্ত্রী মুক্তা বেগম ও তাঁদের সাত বছর বয়সী শিশু লিমা আক্তারের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় জেলার সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের আগরপাশা গ্রামের পরিবেশ নিহতের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে।
এদিকে বিদ্যুতায়িতের ঘটনায় প্রাণে বেঁচে ফিরেছে মিজান-মুক্তা দম্পতির সাত মাসের ছেলে হোসাইন হাওলাদার।
স্বজনেরা বলছেন, মা-বাবা ও আর বোন হারানো ছোট্ট হোসাইনের কান্না থামাতেই পারছেন না তাঁরা।
নিহত মিজানের বাবা নাসির হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে জানান, ছেলে, ছেলের বউ আর নাতির মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। এ ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার চান তিনি।
এখন হোসাইন ছাড়া আর কেউ নেই তাঁদের। হোসাইন কিছুক্ষণ পরপর কান্না করছে। আর কান্না শুরু করলে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। তিনজনকে একসঙ্গে হারিয়ে কীভাবে এই পরিবার শোক কাটিয়ে উঠবে তা জানা নেই তাঁর।
এদিকে তিনজনের লাশ দাফনের জন্য রাতেই অর্থসহায়তা দিয়েছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে অতিবৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যায়। মিরপুর-১ নম্বর সড়কে জমে থাকা পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া মিজান-মুক্তা দম্পতির সাত মাসের ছেলে হোসাইনকে তার দাদা নাসির হাওলাদারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন