হোম > সারা দেশ > বরিশাল

পায়রা সেতু চালু হলেও কমছে না ভোগান্তি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পায়রা সেতু চালু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কমেনি ভোগান্তি। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও সুফল পাচ্ছে না এই অঞ্চলের যাত্রীরা। ফেরিঘাটের মতোই সেতুর টোলে ২০ থেকে ৩০ মিনিট যাত্রীদের বাসে বসে থাকতে হয়। পেছনের আরেকটি গাড়ি আসবে, তারপর তারা ছেড়ে যাবে। এতে যাত্রীদের ফেরির দুর্ভোগই পোহাতে হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে বাস স্টাফদের হাতে যাত্রীদের লাঞ্ছিত হতে হয়। 

জানা গেছে, পটুয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল পায়রা সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সড়কযোগাযোগের উন্নয়ন এবং ফেরি ভোগান্তি লাঘবের জন্য পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণ করা হয়। গত বছরের ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করেন। পরে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে ফেরি ভোগান্তির কারণে সেতু চালু করা হলেও বাসচালকদের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-বরিশাল রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো উভয় দিক থেকে আসা-যাওয়ার পথে সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে টোলপ্লাজায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেরিন খান বলেন, ‘ছয় মাস আগে পায়রা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাসযাত্রীদের ভোগান্তি আগের মতোই আছে। ফেরিঘাটের মতো এখনো আমাদের পায়রা সেতুর টোলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। যদি প্রতিবাদ করতে যাই, তখন উল্টো হেলপাররা খারাপ আচরণ করেন।’ 

বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আমিন তিশা বলেন, ‘আমার বাড়ি পটুয়াখালীতে। বরিশালে পড়াশোনা করছি। তাই বাড়ি থেকে বাসে এলে পাগলার মোড়ে (পায়রা সেতুর টোল) ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এর মূল কারণ বাসচালকেরা। অতিরিক্ত যাত্রীর আশায় ২০ মিনিট থামিয়ে রাখেন পায়রা সেতুর টোল প্লাজায়। দ্রুত চলাচলের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে এই সেতু উপহার দিয়েছেন। অথচ এখনো আমাদের ভোগান্তি কমল না।’ 

এ বিষয়ে বাসচালক মো. আলামিন বলেন, ফেরি চলাচলের সময়ও পাগলা মোড়ে (পায়রা সেতু টোলে) বাস কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখা হতো এবং এখনো রাখা হচ্ছে। ১৫ মিনিট পর পেছনের বাসটি চলে এলে আমরা ছেড়ে যাই। বাস মালিক সমিতি থেকে আমাদের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে যেতে পারলেই হলো। এভাবেই কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-বরিশাল রুটের প্রতিটি বাস পাগলা মোড়ে ১৫ মিনিট থামিয়ে রাখা হয়।’ 

পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, পটুয়াখালী থেকে ১৫ মিনিট পর পর বাস বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। চালকদের ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে। এই সময়ের মধ্যে না যেতে পারলে চালকদের বরখাস্ত করা হয়। তবে অনেক সময় চালকেরা সেতুর ওখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেন। পরে সময়ের অভাবে দ্রুতগতিতে বাস চালানোর কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। 

সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু বিষয়টি জানতে পেরেছি, এখন বাস মালিক সমিতির অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সময় কমিয়ে দেব। যাতে তাঁরা অতিরিক্ত সময় দাঁড়াতে না পারেন। আর চালকদের বিষয়টি শ্রমিক ইউনিয়ন দেখবে।’

নিষিদ্ধ বেহুন্দি জালে দেদার পোনা নিধন

বরিশালে সড়কে ঝরল সেনাসদস্যের স্ত্রীসহ ২ জনের প্রাণ

মির্জাগঞ্জে ৫ বছরেও শেষ হয়নি স্কুল ভবনের নির্মাণকাজ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

হলের নাম দেড় মাসেও বদল না করায় ক্ষোভ

বরিশালে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

বিএনপি নেতার হাত-পা বেঁধে বাড়ি লুট

বরিশাল নগরে মহাসড়ক দখল করে নির্মিত পার্ক উচ্ছেদের উদ্যোগ

আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী মারা গেছেন

বিএনপি-জামায়াতকে বিরোধ মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ মামুনুল হকের

দখল-চাঁদাবাজি-হামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা

সেকশন