বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এনজিওর কিস্তির টাকা দিতে না পারায় শিশু সন্তানসহ কারাগারে পাঠানো গৃহবধূকে মানবিক দিক বিবেচনায় জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক শারমিন সুলতানা সুমী তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা মো. ফুয়াদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘১৭ হাজার টাকার জন্য ২ বছরের শিশু সন্তানসহ নুপুর মধুকে গ্রেপ্তারের পর আজ (রোববার) আদালতে হাজির করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শারমিন সুলতানা সুমী মানবিক কারণে তাঁর জামিন দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে গৃহবধূর শাশুড়ি শ্রীমতি হালদার আজকের পত্রিকাকে জানান, এক বছর আগে তারা বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস) এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। আর্থিক অনটনের কারণে নিয়মিত এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয় নুপুর মধু। বর্তমানে আর ১৭ হাজার টাকা পাওনা ছিল ওই এনজিওর। লোনের টাকা খেলাপি হওয়ায় এনজিও বিডিএস কর্তৃপক্ষ সমিতির সদস্য নুপুর মধুর নামে বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গ্রেপ্তারের জন্য আগৈলঝাড়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল গত শুক্রবার গভীর রাতে মহিলা পুলিশ ছাড়াই অভিযান পরিচালনা করে নুপুর মধুকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় মামলার আসামি না হলেও নুপুর মধুর দুই বছরের ছেলে কৌশিক হালদার ও শাশুড়ি শ্রীমতি হালদারকে (৫৫) আটক করে থানায় নিয়ে যান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
শ্রীমতি হালদার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মামলার নোটিশ পেয়ে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে এনজিওতে জমা দিয়েছি। তখন এনজিও থেকে জানানো হয়, তিন হাজার টাকা কিস্তি হিসেবে জমা দিবে তারা। বাকি দুই হাজার টাকা দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের খরচ লাগবে।’
এ বিষয়ে এনজিও বিডিএসের নির্বাহী পরিচালক এসএস এইচ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নুপুর মধু ঋণ নিয়েছে এক বছর পার হয়েছে। তাই ঋণ খেলাপির মামলা করা হয়েছে। কিস্তির টাকা না দেওয়ায় ওই গৃহবধূকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আদালত জামিন দিয়েছে বলেও শুনেছি।’