পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনা ঘটে। মো. বেল্লাল তাঁর স্ত্রী সেতারাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিলে স্ত্রী অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সেতারাকে শারীরিক নির্যাতন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ বছর আগে মোসা. সেতারা বেগমের (৪৫) সঙ্গে একই গ্রামের দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত্যু হাসেম শিকদারের ছেলে মো. বেল্লালের বিয়ে হয়। ৭ বছর আগে ২য় বিয়ে করেন বেল্লাল। এর পর থেকে কারণে অকারণে ১ম স্ত্রী সেতারাকে মারধর করতে থাকে। ব্যবসার জন্য বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করে আসছে।
মোসা. সেতারা বেগম বলেন, আমার গর্ভে দুই মেয়ে এক ছেলে জন্ম নেওয়ার পরে ৭ বছর আগে সে ২য় বিবাহ করে। সেই থেকে আমাকে মারধর করে ও ব্যবসার জন্য আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা আনতে বলে। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গতকাল মঙ্গলবার আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে পেটায় ও পাড়ায়। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন দুপুরে দশমিনা হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
সেতারা বেগম বর্তমানে উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীর আহম্মেদের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন। ডাঃ তানভীর আহম্মেদ বলেন সেতারার শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটানোর লাল-নীল দাগ স্পষ্ট থাকায় ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।