পিরোজপুর প্রতিনিধি
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পিরোজপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীরা। জোটের প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন মঠবাড়িয়ার জাতীয় পার্টি। এদিকে মঠবাড়িয়ার নির্বাচনী মাঠে মহাজোটের লাঙল প্রতীকের প্রার্থীর নেতা-কর্মীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে গণসংযোগ করছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হতে তাঁরা ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
মঠবাড়িয়া আসনটি একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৯৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১০ হাজার ৪৭৪ জন। এ আসনটিতে দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টি জাপার কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রুস্তম আলী ফরাজী সংসদ সদস্য থাকলেও বর্তমানে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।
পিরোজপুর-৩ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আমির হোসেন (আম), মো. জাসেম মিয়া বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. মাশরেকুল আজম রবি (লাঙল) প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রুস্তম আলী ফরাজী (ঈগল) প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামিম শাহ নেওয়াজ (কলার ছড়ি), মো. শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. শহিদুল ইমলাম স্বপন (হাত ঘড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস এর হোসাইন মোশারেফ সাকু (ডাব)।
মঠবাড়িয়া জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি আফসার উদ্দীন দিপু বলেন, ‘পিরোজপুর-৩ আসনটি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির (জাপা) জোট হলেও আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী আমাদের কোনো প্রকার সহযোগিতা করছে না। আমরা বুঝতে পারছি না এটা কেমন জোট। আমরা শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই জোটকে জোটের মূল্যায়ন করা হোক।’
মঠবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বেপারী বলেন, ‘যেহেতু জোটবদ্ধ নির্বাচন, তাই আমরা অবশ্যই জোটের জন্য কাজ করব। কিন্ত জোটের প্রার্থী ও তাঁর লোকজন আমাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় বা যোগাযোগ রক্ষা করে না। তাঁরা তাঁদের মতো করে প্রচারণা চালাচ্ছে।’