বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে আদালতে তোলার পর তুমুল হট্টগোল হয়েছে। জাপা নেতাদের অভিযোগ, বিচারক প্রথমে টিপুকে দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দিয়েছিলেন। পরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিচারককে চাপে ফেলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করিয়েছেন।
এ সময় আদালতের বাইরে বিএনপির সমর্থকেরা সদর উপজেলার কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক হাবিবুর রহমান টিপুকে বেদম মারধর করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
সাবেক এমপি টিপুর আইনজীবী বশির আহমেদ সবুজ জানান, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ঠাকুরমল্লিক কেন্দ্র দখলের অভিযোগে টিপুসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন হেমায়েত গত ২৫ নভেম্বর মামলাটি করেন। ওই মামলায় কারাবন্দী টিপুর ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আজ টিপুর উপস্থিতিতে শুনানি শেষে বিচারক তানভীর হোসেন দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।
সবুজের অভিযোগ, এরপরই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হট্টগোল করেন। তাঁদের উসকানিতে আদালতের বাইরে থাকা বাবুগঞ্জ থেকে আসা বিএনপি নেতা–কর্মীরাও নানা স্লোগান দিতে থাকেন ও জুতা নিক্ষেপ করে।
সবুজ জানান, তিনিসহ টিপুর আইনজীবীরা চলে আসার পর বিচারককে চাপে ফেলে আগের আদেশ বদল করে তিন দিনের রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করানো হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিচারক শুরুতেই তিন দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন। টিপুর আইনজীবীরা শুনতে ভুল করেছেন। বাবুগঞ্জের ক্ষুব্ধ লোকজন আদালতের বাইরে হট্টগোল করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য একেএম মোস্তফা বলেন, তাদের নেতা টিপুকে আদালতে আনায় জাপার শতাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির লোকজনের উশৃঙ্খল আচরণ দেখে তারা নিরাপদে সরে যান। ওই সময়ে ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন আওয়মী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান টিপু। তাকে বিএনপির বিক্ষোভকারীরা বেদম মারধর করেছে। পরে আদালতের পুলিশ এসে টিপুকে উদ্ধার করে।