ভোলায় চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। পুলিশ ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ভোলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনেরা জানান, আজ দুপুরের দিকে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাকসুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে হৃদ্রোগের কারণে তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা নাইমুল হাসনাত রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে জুমার নামাজ পড়তে যাবেন বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। পরে নামাজ শেষ হওয়ার পর হাসপাতালে এসে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসক রোগীকে সময়মতো চিকিৎসা দিলে মৃত্যু হতো না। ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনেরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাকসুদুর রহমান নামের ওই রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বেলা ৩টার দিকে তাঁর স্বজন ও উপস্থিত জনতা হাসপাতালের সামনে চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের শান্ত করেন। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ ওই চিকিৎসককে নিরাপদে হাসপাতাল থেকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিতে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালের ভবন থেকে বের হলে উত্তেজিত জনতা তাঁকে মারধর করে। এ সময় পুলিশের কাছ থেকে চিকিৎসককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলায়। তখন পুলিশ দ্রুত গাড়ি নিয়ে চলে যায়।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাহাদাৎ হাসনাইন পারভেজ জানান, হাসপাতালে বিক্ষোভের খবর পেয়ে তাঁরা চিকিৎসককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা করে নিরাপদে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন। তবে, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি শনিবার তদন্ত করবেন। যদি চিকিৎসকের অবহেলা প্রমাণিত হয়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।