কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিণত হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে এটির অবস্থান ছিল পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে। তবে এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝাড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে এটির প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। মঙ্গলবারের চেয়ে আজ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপকূলীয় এলাকা দিয়ে জড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত সরিয়ে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে সকল মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদ নদী ও সাগরে ১১ অক্টোবর থেকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তা বলবৎ আছে। তাই সব ট্রলারই মহিপুর শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নেওয়া আছে।’
কলাপাড়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যান্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ ও বাতাস সেই সঙ্গে সাগর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সবাইকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে বলা হয়েছে।’