পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার চেয়ারম্যানের ব্যবসায়িক কার্যালয় এবং তাঁর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও জেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পর এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২ নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় গাড়ি ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটে।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।
নেতা-কর্মীরা জানান, ভান্ডারিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জেপির (মঞ্জু) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সোমবার রাতে তেলিখালীতে একটি ইফতার পার্টি শেষে জেপির (মঞ্জু) দলীয় নেতা-কর্মীরা ভান্ডারিয়ায় ফেরার পথে স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি-ধাওয়া হয়। এর কিছু সময় পরে ভান্ডারিয়া জেপির (মঞ্জু) দলীয় নেতা-কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। পরে একই ব্যক্তির তাঁর বাসভবনেও হামলা চালান।
এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ উঠেছে, জেপির নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং এতে তাঁদের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুর রশিদ খসরু জোমাদ্দার বলেন, ‘তেলীখালী ইফতারিকে কেন্দ্র করে জেপির নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের ওপরে চড়াও হয়। পরে ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বাসভবনে এবং অফিস কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় তাঁরা। অফিসে থাকা জাতির পিতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভেঙে ফেলা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মুকিত হাসান খান বলেন, ভান্ডারিয়ার তেলীখালী এলাকায় একটি ইফতার পার্টি শেষে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও জেপি (মঞ্জু) গ্রুপের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন আছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ আছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।