নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
৩০০ কোটি টাকা দেনার বিপরীতে মাত্র ১২ কোটি টাকা হাতে পেয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) হাল ধরলেন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। আজ মঙ্গলবার নগর ভবনের সামনে উৎসবমুখর অভিষেক অনুষ্ঠানে মেয়রকে শুভেচ্ছা জানান নগরের হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। যদিও অনুষ্ঠানে আসেননি মেয়র খোকনের ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি ও বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। অভিষেক অনুষ্ঠানে একটি হয়রানিমুক্ত নগর ভবন গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে নতুন মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত বরিশালবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘একটি সুন্দর নগর গড়াই আমার লক্ষ্য। সারা দেশ উন্নয়নের সাগরে ভেসে গেলেও বরিশাল নগরে উন্নয়ন হয়নি। আমি সবার সহযোগিতা চাই। নগর ভবন হবে হয়রানিমুক্ত। সিনিয়র সিটিজেনরা পাবেন সেবা।’
১২ জুনের নির্বাচনে ৩৫টি ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে মেয়র খোকন বলেন, ‘অচিরেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব বাস্তবায়ন করা হবে। কেননা দায়িত্বভার নেওয়ার আগেই শেখ হাসিনা বিসিসির উন্নয়নে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।’
মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা হতাশ হবেন না, নিরাশ হবেন না। এই করপোরেশনে ৩০০ কোটি টাকার দায়দেনা আছে। অথচ আমি নগর ভবনে মাত্র ১২ কোটি টাকা পেয়েছি।’ বিসিসি সঠিক জবাবদিহির মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে ঘোষণা দেন মেয়র খোকন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার। আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, সংসদ সদস্য শাহে আলম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়রের স্ত্রী লুনা আব্দুল্লাহ, সংরক্ষিত আসনের এমপি রুবিনা মীরা, পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম প্রমুখ। পরে অতিথি ও কাউন্সিলরদের নিয়ে নগর ভবনে গিয়ে দায়িত্ব নেন মেয়র খোকন।
চেয়ার ছোড়াছুড়ি
অভিষেক অনুষ্ঠান চলাকালে পেছন থেকে একদল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি ঘটে। পরে তাঁরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুর করেন। অবশ্য ওই কর্মীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আয়োজকদের তথ্যে জানা গেছে, ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটেছে।