শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী বা অতিথি পাখি উড়ে আসে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী, পারকি সমুদ্রসৈকত, কোরিয়ান ইপিজেড লেক ও মেরিন একাডেমিসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায়। পাখিগুলো পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করে। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে পাখির বড় অভয়াশ্রম হয়ে উঠতে পারে কর্ণফুলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। তবে পাখির বসবাসের পরিবেশ নষ্ট হওয়া এবং চোরা শিকারিরা তৎপর থাকায় যত দিন যাচ্ছে, পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে বলে জানান স্থানীয়রা।
নানা প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে মুখরিত সমগ্র জনপদ। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই শীতে আসা অতিথি পাখির মধ্যে দেখা গেছে কুন্তি হাঁস, জিরিয়া হাঁস, পাতারি হাঁস, রাজহাঁস, নীলশির, কানি বক, ধূসর বক, সাদা বক, জল ময়ূর, ডুবুরি, পানকৌড়ি, গঙ্গা কবুতর, দলপিপি, কাস্তে চড়া, রাজ সরালি, ঈগলসহ আরও নানা প্রজাতির পাখি।
এই পাখিগুলো একটু উষ্ণতা নিতে হাজারো মাইল দূরের প্রবল শীতের দেশগুলো থেকে এসব স্থানে ছুটে আসে। শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর অধিকাংশ পাখি ফিরে গেলেও কিছু পাখি এই এলাকাতেই রয়ে যায়।
আনোয়ারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসছে। দিনদিন পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত জলাশয়গুলো ভরাট হচ্ছে। এরা শুধু পরিবেশের বন্ধু নয়, অতিথিবৎসল বাঙালির কাছে এরা অতিথিও বটে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘অতিথি পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। কারও বিরুদ্ধে পাখি শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’