চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি পলাতক রকি দত্ত (২০) গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার। তিনি বলেন, ‘আনোয়ারায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া এক কিশোরীর পরিবারের দায়ের করা মামলায় পলাতক আসামি রকি দত্তকে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
নুরুল আবছার আরও বলেন, ‘আনোয়ারা থানা-পুলিশ দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি পলাশ (২৬), শীপঙ্কর (২৭) ও চন্দনকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী রকি পলাতক থাকেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের একটি দল গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে খাগড়াছড়ি মহিলা কলেজ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রকিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আজ বুধবার বিকেলে থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
গত ১৫ মার্চ দুপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রকি দত্তের সঙ্গে সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে যায় ওই কিশোরী। সেখান থেকে সন্ধ্যায় আনোয়ারার চাতরী ইউনিয়নের পূর্ব সিংহরা ইছামতি কলাবাগান এলাকায় যান তাঁরা। সেখানে চার যুবক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনায় ২০ মার্চ চারজনের নামে থানায় মামলা করে কিশোরীর পরিবার।
২১ মার্চ ভোরে জেলার বোয়ালখালী উপজেলা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আনোয়ারার চাতরী ইউনিয়নের সিংহরা এলাকার পলাশ (২৬), শীপঙ্কর (২৭) ও চন্দন (২৫)। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তবে প্রধান আসামি রকি দত্ত (২০) পলাতক ছিলেন।
এদিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় রকিকে গ্রেপ্তার করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগে ভিত্তিতে দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, ‘আনোয়ারায় কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় র্যাব খাগড়াছড়ি থেকে মামলার প্রধান আসামি রকি দত্তকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলা ডিবি পুলিশের কাছে থাকায় আসামিকে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করে।’